ইটের গাঁথুনী নিয়ে কিছু কথা !

ইটের গাঁথুনী নিয়ে কিছু কথা !
—————————————-
যেটি ছাড়া বিল্ডিং অসম্পূর্ণ কিংবা বিল্ডিং এর কথা আসলেই আগে আসে যে কাজের কথা হ্যাঁ তা হলো #ইটের_গাঁথুনী ।

কিছু কিছু বিষয়ের উপর এ কাজের সময়
বিশেষ ভাবে লক্ষ রাখতে হয় ।যদিও ইঞ্জিনিয়ার ভাইয়েরা আপনারা তো এটি করবেন না ঠিক কিন্তু কাজটা যেন ত্রুটিকম যুক্ত হয় সে বিষয়গুলি খেয়াল রাখতে হবে।

যে যে বিষয়গুলি খেয়াল রাখা জরুরী ইটের কাজ করার সময় নিন্মে তা তুলে ধরা হলো :

ক) ইট গাঁথার সময় প্রত্যেকবার সুতা এবং শল দেখেনিতে হবে গাঁথনী সোজা রাখতে হলে ।

খ) ইটের আকার আকৃতি ঠিক থাকেনা বলে সস্তা
মানের ইট ব্যবহার করা হলে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় গাঁথনী সোজা হয় না ।

গ) আকারে ছোট সাইজের ইট ব্যবহার করলে গাঁথনী সমান হয় না, কারণ হলো অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা বেশী লাভ করার জন্য ইটকে আকারে ছোট করে থাকে ফলে গাঁথনীর সময় একপাশ মেলালে আরেক পাশ মিলে না, ফলে যে সব সমস্যার সন্মুখীন হতে হয় মিস্ত্রীকে :

#সব জোড়া মাঝখানে পড়েনা ইটের আকার ঠিক না
থাকায়,
#অনেক বেশী মসলার ব্যবহার করতে হয় গাঁথনীর শল মিলাতে গিয়ে, দেখা যায় সিমেন্ট বালুতে অনেক বেশী টাকা ব্যয় হয় ইটের ক্ষেত্রে টাকা বাঁচাতে গিয়ে,

#প্রচুর ইটের অপচয় হয় বেছে বেছে ব্যবহার করতে গিয়ে এবংকি মিস্ত্রিদের সময় বেশী লাগছে, ফলেমিস্ত্রি খরচ বেড়ে যায় ।

ঘ) সেজন্য প্রথম শ্রেনীর ইট এবং পোর্টল্যান্ড
সিমেন্ট ব্যবহার করা উচিত ।

ঙ) FM 1.5 গ্রেডেড বালি ব্যবহার করা উচিত।

চ) মিশ্রনে মসলার অনুপাত হবে ১:৬।

ছ) ইটকে ভালভাবে ব্যবহারের ৬ ঘন্টা আগে ভিজানো এবং ভালভাবে পরিস্কার করা উচিত।

জ) কোন নির্দীষ্ট উদ্দ্যেশ্য না থাকলে ইংলিশ বন্ডে গাঁথুনী করা ভাল ।

ঝ) আধলার ব্যবহার এড়িয়ে চলা ভাল যদি প্রয়োজন না পড়ে ।

ঞ) জোড়াগুলো ইটের সিলমোহর উপরে রেখে মসলাদ্বারা পূর্ণ করা উচিত ।

ট) জোড়ের পুরুত্ব ১৩ মিমি এর বেশী যেন না যায়।

ঠ) জোড়াগুলোর মধ্যে যেন কোন ফাঁক না থাকে,
প্রয়োজনে মশলা দ্বারা পূর্ণ করে সমতল করা অত্যাবশ্যকীয় ।

ড) ইটকে আস্তে আস্তে সম্পূর্ণ বেডের উপর মশলা বিছিয়ে চাপ দিয়ে বসানো উচিত ফলে মশলার সাথে ভাল ভাবে লেগে যায় ।

ঢ) আনুভূমিক হবে সমস্ত কোর্সগুলো এবং সঠিকভাবে খাড়া হবে খাড়া জোড়াগুলো ।

ণ) সর্বোচ্চ ১.৫ মিটারের বেশী গাঁথুনী করা উচিত নয়একদিনে ।

ত) কিউরিং ৭ দিন পর্যন্ত করা ভালো গাঁথুনীর কাজশেষে ।

ধন্যবাদ
সকল ইঞ্জিনিয়ারর ভাইবোনদের

#সাদমান তানজিল আরিয়ান

বিভিন্ন প্রকার সিড়ির তালিকা:

বিভিন্ন প্রকার সিড়ির তালিকা:

→#একমুখী সিড়ি,
→#ডগ্-লেগড সিঁড়ি,
→#ওপেন নিউয়েল সিড়ি ,
→#জিওমেট্রিক্যাল সিড়ি,
→#বৃত্তাকার সিড়ি,
→#বাইফারকেটেড সিড়ি,

→সিঁড়ির ট্রেড ও রাইজারের মাঝে সম্পর্ক:
বিভিন্ন বিল্ডিং কোড দ্বারা নির্ধারিত নিয়ম-
কানুন মেনে সিড়ি স্ল্যাবের ট্রেড ও রাইজারের মান নির্ণয় করা হয়।যেহেতু স্ল্যাবের ঢাল সাধারণত ২৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি এর মধ্যে রাখতে হবে,সেহেতু ট্রেড ও রাইজারের মধ্যকার সম্পর্ক বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

নিম্নলিখিত নিয়ম অনুসরণ করলে ট্রেড ও রাইজারের সন্তোষজনক মান পাওয়া
যায়।

#আমেরিকান কোড অনুযায়ী(American Standard):
ট্রেড + রাইজার= ৪৪ সেমি.
ট্রেড x রাইজার= ৪০০-৪৫০ বর্গসেমি.

#ইন্ডিয়ান কোড অনুযায়ী(Indian
Standard):
ট্রেড + ২ x রাইজ=৬০ সেমি.
ট্রেড x রাইজার= ৪০০-৪১০ বর্গসেমি.

AcI কোড অনুযায়ী ট্রেড ও রাইজারের সবোর্চ্চ এবং সর্বনিম্ন মান হচ্ছে:
AcI কোড অনুযায়ী বসতবাড়িতে ব্যবহৃত সিড়ি স্ল্যাবের রাইজারের পরিমাপ ১৫ হতে ১৮ সেমি
এবং ট্রেডের পরিমাপ ২৩-২৭ সেমি। পাবলিক বিল্ডিং এ ব্যবহৃত সিড়ি স্ল্যাবের রাইজারের পরিমাপ ১৪-১৫ সেমি এবং ট্রেডের পরিমাপ ২৫-৩০ সেমি হয়।

#ওয়েস্ট স্ল্যাবের ওজন নির্ণয়ের পদ্ধতি:

সিড়ির স্ল্যাবকে ওয়েস্ট স্ল্যাব বলা হয়।

মনে করি, R=রাইজারের উচ্চতা, সেমি.
T=ট্রেডের প্রস্থ, সেমি.
S=ওয়েস্ট স্ল্যাবের পুরুত্ব, সেমি.

ওয়েস্ট স্ল্যাবের ওজন নির্ণয়ের সুত্র=SxR2+T2x 24/T

সিড়ির ধাপের ওজন নির্ণয়ের পদ্ধতি:
ধাপের ওজন নির্ণয়ের সুত্র হলো W=১২R কেজি/বর্গমিটার

এখানে,
#R=রাইজারের উচ্চতা
#W=ওজন

সিভিল কাজের নির্মাণ সামগ্রীর বাজার দর ও মজুরী !

সিভিল কাজের নির্মাণ সামগ্রীর বাজার দর ও মজুরী? 

#ঢাকায় পোর্টল্যান্ড সিমেন্টের
বাজার দর :
প্রতি ব্যাগ হিসেবে মূল্য

১) হোলসিম সিমেন্ট (Special) : ৪৯০
টাকা/প্রতি ব্যাগ;

২) স্ক্যান সিমেন্ট : ৪৮০ টাকা/প্রতি ব্যাগ

৩) লাফার্জ সিমেন্ট : ৪৬৫ টাকা/
প্রতি ব্যাগ;

৪) শাহ্ সিমেন্ট :৪৬০ টাকা/প্রতি ব্যাগ

৫) আল্ট্রাটেক সিমেন্ট : ৪৬০
টাকা/প্রতি ব্যাগ;

৬) সিমেক্ষ সিমেন্ট : ৪৫৫ টাকা/প্রতি ব্যাগ

৭) ক্রাউন সিমেন্ট : ৪৫৫ টাকা/
প্রতি ব্যাগ;

৮) আকিজ সিমেন্ট :৪৫০ টাকা/প্রতি ব্যাগ

৯) কিং ব্যান্ড সিমেন্ট : ৪৫০
টাকা/প্রতি ব্যাগ;

১০) ফ্রেশ সিমেন্ট : ৪৪৫ টাকা/প্রতি ব্যাগ

১১) টাইগার সিমেন্ট : ৪৪০ টাকা/
প্রতি ব্যাগ;

১২) প্রিমিয়ার সিমেন্ট : ৪৪০ টাকা/প্রতি ব্যাগ

১৩) আনোয়ার সিমেন্ট : ৪৪০ টাকা/
প্রতি ব্যাগ;

১৪) এ্যালিফ্যান্টব্রান্ড সিমেন্ট:৪৩৫ টাকা/প্রতি ব্যাগ

১৫) মীর সিমেন্ট : ৪৩৫ টাকা/প্রতি
ব্যাগ;

১৬) সেভেন রিংস সিমেন্ট
(OPC) : ৪৩০ টাকা/প্রতি ব্যাগ

১৭) মেট্রোসেম সিমেন্ট : ৪৩০
টাকা/প্রতি ব্যাগ;

১৮) সেভেনহর্স সিমেন্ট : ৪৩০ টাকা/প্রতিব্যাগ

#ঢাকায় ইটের বাজার দর :
———————————-
→১নং বাংলা ইট : ৭৭০০ টাকা/প্রতি
হাজার;
→২নং বাংলা ইট : ৬৭০০টাকা/প্রতি হাজার

→১০ হলোব্রিক ( ৯.৫x৪.৫x২.৭৫)
ইন্জিনিয়ারীং : ৩৮০০টাকা/১০০পিস;

→০৩ হলোব্রিক( ৯.৫x৪.৫x২.৭৫) : ৪৪০০ টাকা/১০০পিস;

→০৩ হলোব্রিক ( ৭.৫x৪.৫x৬.৫) : ৬৪০০ টাকা/১০০পিস

#ঢাকায় পাথর/খোয়ার বাজার দর:
প্রতি ঘনফুট
———————————–
#ভোলাগজ্ঞ : ১৪৭ টাকা/প্রতি
ঘনফুট;

#বেতনাকান্দি : ১২৭ টাকা/প্রতি ঘনফুট;

#খোয়া : ৯৭ টাকা/প্রতি ঘনফুট

ঢাকায় বালির বাজার দর: প্রতিঘনফুট
———————————–
#সিলেট স্যান্ড : ৩৭ টাকা/প্রতি ঘনফুট;

#লোকাল স্যান্ড : ১৩ টাকা/
প্রতি ঘনফুট;

#ভীট বালি : ৮ টাকা/প্রতি ঘনফুট

ঢাকায় এম এস বারের ( ডিফরমড রড়)
বাজার দর: প্রতি টন

————————————
#বিএসআরএম (BSRM) , #কেএসআরএম(KSRM) , #আরএসআরএম (RSRM ) ,
#রহিমস্টিল ,
#বসুন্ধরা স্টিল ,
#একেএস(AKS) ,
#বয়েজিদ স্টিল

{গ্রেড-৪০০/৫০০W এবং গ্রেড-৬০/৭০} :
৫৮৭০০-৬৮৭০০ টাকা/প্রতি টন

#বিএসআরএম (BSRM) , #কেএসআরএম(KSRM) , #আরএসআরএম (RSRM) ,
#রহিমস্টিল ,
#বসুন্ধরা স্টিল ,
#একেএস(AKS) ,
#বয়েজিদ স্টিল ,
#পাইওনিয়ারস্টিল,
#প্রাইম স্টিল ,
#ঢাকা স্টিল
,#মেট্রোসেম স্টিল

{গ্রেড-৪০} :৪৮৮০০-৫০৭০০ টাকা/প্রতি

#এঙ্গেল :
#বিএসআরএম (BSRM) , #কেএসআরএম(KSRM) , #আরএসআরএম (RSRM) ,
#রহিমস্টিল ,
#বসুন্ধরা স্টিল ,
#একেএস(AKS) ,
#বয়েজিদ স্টিল ,
#পাইওনিয়ারস্টিল,
#প্রাইম স্টিল ,
#ঢাকা স্টিল
#মেট্রোসেম স্টিল
{এঙ্গেল} :৬১৭০০-৮১৭০০ টাকা/প্রতি টন

[এর সাথে গ্রাহকের অবস্থানঅনুযায়ী পরিবহন খরচ (প্রতিমেট্রিক টন) হারে ২৩০-১৭০০ টাকাযুক্ত হবে]

#সিভিল কাজের মজুরী :

ঢাকর বাজার দরে

→ফুল মিস্তী দৈনিক হাজিরা
হিসেবে : ৬০০ টাকা/দিন ;
→হাফ মিস্তী দৈনিক হাজিরা হিসেবে :
৫৫০ টাকা/দিন ;

→লেবার/যোগালী:দৈনিক হাজিরা হিসেবে : ৫০০ টাকা/দিন

ছাদের পরিমাপে (৬তলা বিল্ডিং এর ক্ষেএে ৭টা ছাদের হিসেব ধরে) বাজার দর : ১৫৫ টাকা/স্কয়ারফিট

(সাইট পরিষ্কার, কিউরিং,সাটারিং ও সেন্টারিং সহ ) ঢালাই : ৪৫ টাকাঘনফিট
(সাইট পরিষ্কার, কিউরিং, সাটারিং ও
সেন্টারিং সহ ) গাঁথুনী : ৪৫ টাকা/স্কয়ারফিট

(সাইট পরিষ্কার, কিউরিং,সাটারিং ও সেন্টারিং সহ )
#রড়ের কাজ : ৪৫ টাকাস্কয়ারফিট

(সাইট পরিষ্কার, কিউরিং,সাটারিং ও সেন্টারিং সহ )
#প্লাষ্টার : ৪৫ টাকা/স্কয়ারফিট

(সাইট পরিষ্কার, কিউরিং,সাটারিং ও সেন্টারিং সহ )

সবার মনে রাখতে হবে
* বাজার মূল্য পরিবর্তনশীল

বিল্ডিং এর প্রকার সম্পর্কে জানি কয়জন ?

বিল্ডিং তো আমরা সবাই চিনি ।
কিন্তু বিল্ডিং এর প্রকার
সম্পর্কে জানি কয়জন ?
_________________
আসুন জেনে ফেলি প্ল্যানিং এর
দিক থেকে বিল্ডিং কত প্রকার ও
কি কি ।
__________________-_
প্ল্যানিং এর দিক
থেকে বিল্ডিং ৯ (নয়) প্রকারের
হয়ে থাকে ।
১। Residential Building (আবাসিক দালান
২। Business/Commercial Building
(বাণিজ্যিক দালান)
৩। Educational Building
(শিক্ষা প্রাতিষ্ঠানিক দালান)
৪। Institutional Building
(সেবা প্রাতিষ্ঠানিক দালান)
৫। Industrial Building
(শিল্পকারখানা দালান)
৬। Mercantile Building (বিপণি দালান)
৭। Storage Building (গুদাম বা মজুদাগার
দালান)
৮। Assemble Building (পরিষদ ভবন)
৯। High Hazard Building (ঝুঁকিপুর্ণ )FB_IMG_1455811392797

বিল্ডিং এ আগত লোড

#বিল্ডিং এর
বেইজ ডিজাইন
করার আগে
অবশ্যই বিল্ডিং এ আগত লোড
সম্পর্কে অবগত হতে হয় ।
______________________
_______________________
যেসব লোডগুলো অবশ্যই হিসাব
করা উচিত,
সেগুলো নিয়েই আজকের
আলোচনাঃ
১. ডেড লোডঃ কাঠামোর উপর
স্থায়ীভাবে চাপানো লোডই
হলো ডেড লোড।
যেমন- ছাদ, বীম, দেয়াল, কলাম,
স্থায়ী যন্ত্রপাতি ইত্যাদি ।
কাঠামো, মালামালের আকার-
আকৃতির মাধ্যমে এ লোডের
হিসাব করা হয় ।
২.লাইভ লোডঃ কাঠামোর উপর
অস্থায়ীভাবে চাপানো লোডই
হলো সচল লোড । যেমন- লোকজন,
আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি ।
সঠিকভাবে এ লোডের হিসাব
করা কঠিন ।
তাই বিল্ডিং কোড
অনুযায়ী এসব লোড হিসাব
করা হয় ।
৩. উইন্ড লোডঃ কাঠামোর
বাইরের পৃষ্ঠে ঝড়, বাতাস
ইত্যাদির কারনে
উদ্ভুত লোডই, উইন্ড লোড ।
কাঠামোর যেদিকে বাতাস
লাগে, সেদিকে ভিত্তির উপর
চাপ কমে যায়
এবং অপরদিকে চাপ বেড়ে যায় ।
এ লোডও বিল্ডিং কোড
অনুযায়ী হিসাব করা হয় ।
৪. মাটির চাপঃ কাঠামোর উপর
মাটি কর্তৃক প্রদত্ত চাপকেই
মাটির চাপ বলে ।
রানকিনের সূত্র অনুযায়ী এ চাপ
হিসাব করা হয় ।
৫. পানির চাপঃ যখন কোন
ভিত্তি পানি তলের
নিচে অবস্থিত থাকে,
তখন পানি ঐ
ভিত্তিকে আনুভূমিক ও
উর্দ্ধমুখী চাপ প্রয়োগ করে ।
এটাই পানির চাপ ।
৬. ভূকম্পন লোডঃ ভূ-কম্পন জনিত
কারনে সৃষ্ট বল
সাধারনত ভিত্তিতে উলম্ব
নিচের দিকে বা
মোচড়ানোভাবে যে কোন
দিকে কাজ করে ।
ভূ-কম্পন বল বাংলাদেশের জন্য
খুবই হুমকি সরূপ ।
তাই এটিকে অধিক গুরুত্ব
দেয়া উচিত ।
৭. তুষার লোডঃ শীত প্রধান
দেশে সমতল
পৃষ্ঠে বা ছাদে প্রচন্ড বরফ পড়ে ।
তাই এসব দেশে এই লোডেরও
হিসাব করা হয

FB_IMG_1455811218690

ভুমিকম্প প্রবন এলাকায় বিল্ডিং নির্মাণে বিবেচ্য বিষয়সমূহ

ভুমিকম্প প্রবন এলাকায় বিল্ডিং নির্মাণে বিবেচ্য বিষয়সমূহ
—————————————————————–

১। নরম মাটির উপর Foundation স্থাপন করা যাবে না। সব Foundation এর তলা একই সমতলে রাখতে হবে। Foundation এর সব Outline বর্গাকৃত্রির রাখতে হবে।

২। কলামের ও বীমের রডের জয়েন্ট যেন এক একটা এক এক জায়াগায় হয় অর্থাৎ অনেকগুলো জয়েন্ট যেন এক জায়গায় না পড়ে। ( এই জিনিসটা কলাম ও বীমের রড় কাটার সময় বিষেশ ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে ) যদি ভুলক্রমে দুই বা ততোদিক রড়ের জয়েন্ট এক জায়গায় পড়ে যায় তা হলে ঐ জায়গায় রিং এর পরিমান বাড়িয়ে দিতে হবে।

৩। কলামের রিং এর ভিতরের দিকে ১৩৫ ডিগ্রী বাকিয়ে দিতে হবে। এর পরিমান হবে ৩”। ( এই জিনিসটা মিস্ত্রিদের রড ঢুকাতে কষ্ট হয় বলে বেশী ফাঁকি দেয়)

৪। অতিরিক্ত বড় সাইজের দরজা জানালার পরিমান কমাতে হবে।

৫। বিল্ডিং এর নিচে ওপেন পার্কিং এরিয়া ভুমিকম্পের জন্য বেশী ঝুকি, এক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় শিয়ার ওয়াল ব্যাবহার করতে হবে।

৬। নিম্নমানের উপকরণ কখনো ব্যাবহার না করা । বিল্ডিং যদি L আকৃতির হয় তা হলে ঐ
বিল্ডিংকে দুই ভাগে ভাগ করে বর্গাকৃতি করা এতে ভুমিকম্পের ঝুকি অনেকাংশে কমে যায়।

FB_IMG_1455810983287

#ভূমিকম্প ।।।

#ভূমিকম্প
বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতিদিনই ভূপৃষ্ঠের ভেতরে কোথাও না কোথাও ভূমিকম্পের সৃষ্টি হচ্ছে৷ তবে সবগুলো অত জোরালো নয়৷ ভূমিকম্পের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে জমে থাকা শক্তি নির্গত হয়৷ এই শক্তিকে মাপা হয় রিখটার স্কেলের মাধ্যমে৷ সাধারণত ভূমিকম্পকে ১ থেকে ১২ মাত্রা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়৷ ৩ থেকে ৪ মাত্রার ভূমিকম্প বোঝা গেলেও ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয় না৷ তবে ৫ কিংবা ৬ পর্যন্ত পৌঁছে গেলেই সেগুলোকে উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প হিসেবে ধরা হয়৷ রিখটার স্কেলের এক মাত্রা পার্থক্যের অর্থ হচ্ছে আগেরটির চেয়ে পরেরটি ভূত্বকের ভেতর ৩২ গুন বেশি শক্তিশালী৷ তবে ভূপৃষ্ঠে এই তীব্রতার পরিমাণ হয় ১০গুন বেশি৷
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলের মধ্যে পড়েছে৷ বাংলাদেশের একাংশের নীচে দিয়ে টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থল গিয়েছে৷ এই প্লেটের নড়াচড়ার কারণে প্রতি এক হাজার বছরে বাংলাদেশ তিন থেকে ১৫ মিটার করে সংকুচিত হচ্ছে৷ এই সংকোচনের ফলে ভূঅভ্যন্তরে প্রবল শক্তি জমা হচ্ছে৷ জমে থাকা এই শক্তি যে কোন সময় শক্তিশালী ভূমিকম্প হিসেবে বের হয়ে আসতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশংকা করছেন৷ ঘনবসতি দেশ হওয়ার কারণে বাংলাদেশে ভুমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক বেশি হবে বলে তাদের আশংকা৷

FB_IMG_1455809974370

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কি???

সাবজেক্ট রিভিও
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
পৃথিবীর প্রাচীনতম ইঞ্জিনিয়ারিং
বলতে গেলে যে বিষয়টি মানুষের মাথায়
খেলা করে তা হলো সিভিল
ইঞ্জিনিয়ারিং বা পুরকৌশল।।একজন
সাধারণ মানুষ ইঞ্জিনিয়ার বলতে একজন
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকেই কল্পনা করে
থাকেন। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সভ্যতার
শুরু থেকেই বিস্তার লাভ করে আসছে।
বাংলাদেশের এমন কোন জায়গা নেই
যেখানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ছোঁয়া
লাগেনি। সবচেয়ে পুরাতন, বড় এবং সকল
প্রকৌশল জ্ঞানের সমন্বয় এই সিভিল
ইঞ্জিনিয়ারিং।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজঃ
সুউচ্চ ভবন, হাইওয়ে,ব্রীজ,পানি প্রকল্প,
পাওয়ার প্লান্ট ইত্যাদি পরিকল্পনা,
ডিজাইন, গঠন এবং রক্ষনাবেক্ষন করার
কাজ
করের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। সিভিল
ইঞ্জিনিয়ার জরিপের কাজ করে থাকে,
প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন দেয়, এমনকি প্রকল্প
ব্যবস্হাপক এর কাজও করে থাকে সিভিল
ইঞ্জিনিয়ার।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের পরিসরঃ
যেহেতু সময়ের সাথে সাথে সিভিল
ইঞ্জিনিয়ার এর পরিসর বাড়ছে তাই এর
অনেক শাখা বের হয়েছে।এদের মাঝে
উল্লেখযোগ্য হল-
১) মৃত্তিকা প্রকৌশল
২) স্ট্রাকচারাল প্রকৌশল
৩) পরিবহন প্রকৌশল
৪) পানি সম্পদ প্রকৌশল
৫) পরিবেশ প্রকৌশল
কাজের ক্ষেত্র –
অনেকে ভাবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
এ পড়ে ভালো সেলারি পাওয়া
যাবেনা,অবশ্যই পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি চাকুরির
ক্ষেত্র যে সিভিলেই,সেটা এখন আর
কারো অজানা নয়। সিভিল
ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করার পর আপনাকে
২/১ বছর কষ্ট করতে হতে পারে,কারন
যেকোনো ভালো চাকুরির জন্য প্রয়োজন
বাস্তব অভিজ্ঞতা।অভিজ্ঞতাটুকু হয়ে
গেলে আপনার উন্নতি আর কেউ ধরে
রাখতে পারবেনা। সিভিল
ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজের ক্ষেত্রগুলো
হল-
১) সড়ক ও জনপদ
২) গণপূর্ত বিভাগ
৩) রিয়েল এস্টেট কোম্পানি
৪) নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
৫) পরিবেশ নিয়ে কর্মরত বিভিন্য মাল্টি
ন্যাশনাল কোম্পানি
৬) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, ইত্যাদি।
শুধুমাত্র দেশে নয়, দেশের বাহিরেও
রয়েছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের অধিক
চাহিদা। আমেরিকার ৬নম্বর সেরা চাকুরি
হল সিভিল। আমেরিকাতে একজন সিভিল
ইঞ্জিনিয়ারের মাসিক বেতন নুন্যতম
৮০,০০০ ডলার থেকে ১২০,০০০ ডলার পর্যন্ত
হয়ে থাকে।
সময়ের সাথে সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার
এর গুরুত্ত্ব বাড়ছে। বর্তমানে তারা
আগুন নিয়ন্ত্রণ নিয়েও কাজ করে। তারা
আগুনে ক্ষয় ক্ষতি যেন কম হয় সেই বিষয়েও
কাজ করে। পুরাতন মিশর এর পিরামিড বা
রাস্তা নির্মাণে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর
ভূমিকা উল্ল্যেখযোগ্য অবদান ছিল। পানি
বাতাস এবং মাটি পরিশোধনের বিভিন্য
উপায় নিয়েও তারা সজাগ।
পরিশেষে বলতে চাই, যারা
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সিভিল
পরবেন কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় আছেন
তাদেরকে বলবো চোখ বন্ধ করে
আমাদের জগতে চলে আসুন, কথা দিচ্ছি
বিশ্বকে সুন্দর করে গড়তে আপনি সক্ষম
হবেন ই।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মোটামুটি সকল পূর্ণনাম

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মোটামুটি সকল পূর্ণনাম
————————————————
SFD- Shear force diagram
BMD- Bending moment diagram
IL- influence line
CC-Cement concrete.
AC-Asbests cement.
CS-Comparative statement.
PERT-Programme Evaluation and Review Technique.
CPM-Critical path method .
USD-Ultimate strength design.
W.S.D-Working stress design.
BNBC-Bangladesh national building code.
PL-Plinth level.
GL-Ground level.
EGL-Existing ground level.
OGL-Original ground level .
FGL-Formation ground level.
HFL-Highest flood level.
RL- Reduced level.
A.C.I-American concrete institute.
A.A.S.H.O- American Association of state highway official.
A.R.E.A-American Railway engineering association.
A.S.T.M-American society for testing and materials .
B.S.I-Bangladesh standard institute.
B.S.T.I-Bangladesh standard testing institute.
ISI-Indian standard institute.
W.C-Water closet.
B.M-Bending moment.
L.L-Live load.
D.L-Dead load.
E.L-Environmental load.
U.S.C-Ultimate stress of concrete.
A.S.C-Allowable Stress of concrete.
F.M-Findness modulas, Frog Mark, Fouling Mark
B.M-Bench mark .
PVC- Poly vinyl choloride .
UPVC- Unplasticized Poly vinyl choloride.
PPR – Poly Propylene Random
SWG- Standard wire gauge.
MB-Measurement book.
GP-Ground plane.
VP-Vertical plane.
HP-Horizontal plane
GWT- Ground water table